Wednesday, October 4, 2023
HomeUncategorizedএইচএসসি ১৩তম সপ্তাহের পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২। HSC assignment 2022

এইচএসসি ১৩তম সপ্তাহের পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২। HSC assignment 2022

Rate this post

এইচএসসি ১৩তম সপ্তাহের পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২

এইচএসসি ২০২২পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্টঃএইচএসসি ২০২২ ১৩তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পৌরনীতি ও সুশাসন । HSC অ্যাসাইনমেন্ট 2022 13ম সপ্তাহ:সম্প্রতি ২০২২ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি ২০২২ ১৩তম সপ্তাহের পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রসমূহের আলোকে সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক ২০২২ সালেও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি সহ এইচএসসি ২০২২  শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।যা করা সকলের জন্য বাধ্যতা মূলক।

১৩তম সপ্তাহের পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট

শ্রেণিঃ HSC 2022
১৩তম সপ্তাহ
বিষয়ঃ পৌরনীতি ও সুশাসন
অ্যাসাইনমেন্ট নংঃ ০৬
শিরোনামঃ “স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তিতুমীর, এ.কে
ফজলুল হক এবং বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য”

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ হলো ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত একটি বিপ্লব ও সশস্ত্র সংগ্রাম। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবং বাঙালি গণহত্যার প্রেক্ষিতে এই জনযুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণগ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুধয় ঘটে। এই অভ্যুদয় এমনি এমনি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে অনেক জ্ঞানী ও দিগ্ধিজয়ী মনিষীদের অবদান। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের অবদান উল্লেখ করা হলোঃ

পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২

তিতুমীরের অবদানঃ
তিতুমীরের প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। তিনি ১৭৮২ সালের ২৭ জানুয়ারি চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮২৭ সালে তিতুমীর তার গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের নিয়ে জমিদার এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তিতুমীর হিন্দু জমিদার কর্তৃক মুসলমানদের উপর বৈষম্যমূলকভাবে আরোপিত ‘দাড়ির খাজনা এবং মসজিদের করের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি তার অনুসারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলেন। তিতুমীরের অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে এক সময় পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়।তারা সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয় এবং ১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবরর বারসাতের কাছে নারিকেলবাড়িয়ায় বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন। তিতুমীর বর্তমান চব্বিশ পরগণা, নদীয়া এবং ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকার নিয়ে সেখানে ব্রিটিশ শাসলের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। উইলিয়াম হান্টার বলেন, ওই বিদ্রোহে প্রায় ৮৩ হাজার কৃষকসেনা তিতুমীরের পক্ষে যুদ্ধ করেন।
১৮৩১ সালের ১৯শে নভেম্বর গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক তিতুমীরকে শায়েস্তা করতে কর্নেল স্টুয়ার্টের | নেতৃত্বে সেনাবহর পাঠান। তারা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ঘেরাও করে। স্টুয়ার্ট বিরাট সেনাবহর ও গোলন্দাজ বাহিনী নিয়ে বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করেন। যুদ্ধে গোলার আঘাতে ছারখার হয়ে যায় কেল্লা। শহীদ হন বীর তিতুমীরসহ অসংখ্য মুক্তিকামী সৈনিক।

২০২২ সালের পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদান:
অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা আবুল কাশেম ফজলুল হক। যিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক নামেই পরিচিত। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতার জন্য তিনি ছিলেন সুপরিচিতি। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী,পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। সর্বভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। তিনি আপোষহীন ন্যায়নীতি, অসামান্য বাকপটুতা আর সাহসিকতার কারণে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন শেরে বাংলা (বাংলার বাঘ) নামে। সর্বভারতীয় রাজনীতির পাশাপাশি গ্রাম বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

বাংলার পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ১৯১৯ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯৩৫ সালে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে তিনি বেঙ্গল প্রদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৪১ সালে তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৪০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের সম্মেলনে এ কে ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবের প্রধান দাবি ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পৃথক পৃথক স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক সভায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। এ সভায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।

২০২২ সালের ১৩তম সপ্তাহের পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট

১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংগঠিত আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। এসময় পুলিশের হামলায় তিনি আহত হযেছিলেন। তিনি কৃষক-শ্রমিক পার্টি নামে স্বতন্ত্র দল গঠন করেন। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্ব ভাসানীর আওয়ামী মুসলিম লীগ এবং শেরে বাংলার কৃষকশ্রমিক পার্টিসহ চারটি রাজনৈতিক দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। ১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে। ৩ এপ্রিল সরকার গঠন করে যুক্তফ্রন্ট। এ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন শেরে বাংলা। কৃষকপ্রজা আন্দোলন, বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন ও ঋণ সালিশি বোর্ড স্লবর্তনের জন্যে তিনি বাংলার দারিদ্র্য নিপীড়িত কৃষক সমাজের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৫৪ সালের শেরে বাংলা এ কে ফজলুক হক, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে গঠিত হলো যুক্তফ্রন্ট। এই ফ্রন্ট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। বাংলার নয়নমণি শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৬২ সালের ৭ এগ্রিল প্রায় ৮৯ বছর বয়সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

১৩তম সপ্তাহের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি বঙ্গবন্ধু। শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সকলের অগ্রভাগে থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে আলোর পথ দেখিয়েছেন। তার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের সোনার ফসল এই স্বাধীন বাংলাদেশ। সর্ব প্রথম মুসলিম লীগের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির পথে যাত্রা। সেই থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন পূর্ব বাংলার অসাম্প্রদায়িক ও গণতন্ত্রের প্রাণপুরুষ। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ থেকে ক্রমশঃ সরে গিয়ে তরুনদের সংগঠিত করতে থাকেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।

►► আরো দেখো: বন অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ ২০২২
►► আরো দেখোদশম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেয়ার কারণেই তার জেল জীবন শুরু। জেলখানায় বন্দী থেকেও তিনি ভাষার দাবিকে উস্কে দিযেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার অবদান সকলের উপরে। ছাত্র জীবন থেকেই প্রতিবাদী এ প্রাণপুরুষ প্রতিটি আন্দোললে সবার আগে। সামরিক শাসকেরা সব সময় বঙ্গবন্ধুর ভয়ে। | তটস্থ থাকত। সে কারণে তারা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে জেলে | বন্দী রেখেই স্বস্তি পেত। ১৯৬৬ সালে সর্ব প্রথম ৬ দফা কর্মসূচীর মাধ্যমে তিনি | জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌদেন। এই ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলন ঠেকাতে পশ্চিমা সামরিক শাসক আইয়ুব খান ঐতিহাসিক আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবকে প্রধান আসামী করে গ্রহসনের বিচার শুরু করে।

HSC assignment 2022 13th week

এদেশের মানুষের গণদাবির মুখে উনসত্তুরের গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করার পর শুরু হয় তীর আন্দোলন। সেই থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু নামে ভূষিত হন। ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর তিনি বাংলাদেশের অবিসংবাদিও নেতা হিসাব পরিগনিত হন। তার কণ্ঠে দেয়া ভাষন পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ভাষনের মর্যাদা পেয়েছে।
১৯৭২ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তান বাহিনী বর্বর হত্যাকান্ড শুরু করলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার কিছুক্ষন পরেই পাকসেনারা তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পশ্চিম পাকিস্তানের লালপুর কারাগারে স্থানান্তর করে দীর্ঘ দশ মাস তাকে বন্দী করে রাখে। পাকিস্তানি কুচক্রী সরকার স্বাধীনতা ঘোষনার অপরাধে বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহীতার অপরাধে ফাঁসির আদেশ দেয়। কিন্তু প্রতিবাদী সুশীল বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে বার বার তাকে ফাঁসির দড়ি থেকে ফিরিয়ে এনেছে।

১৯৭২ সালের ১০ই মার্চ যখন তিনি দেশে ফিরেছিলেন এ দেশের মানুষ আবেগে উচ্ছাসে বরণ করেছিল এ বিশ্ববরেণ্য নেতাকে। সুতরাং এ কথা নিশ্চিত বলা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিতুমীর, এ.কে ফজলুল হক ও বঙ্গবন্ধুর ভুমিকা ছিল অপরিসীম। আমজনতা এক হয়েছিল তাদের বজ্রকঠিন ভাষনে। পুরাো বাঙালি জাতি গঠিত হয়েছিল তাদের নেতৃত্বে। তাদের ডাকে এদেশের মানুষ সকল প্রকার আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তো বলে পশ্চিমা শাসকেরা সব সময় সুযোগ খুঁজত কিভাবে তাদের দামিয়ে রাখা যায়। বস্তুত বাঙালি জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর এ স্বাধীনতা অর্জনের অগ্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিতুমীর ও এ.কে ফজলুল হক।

 

 

Joba2z
Joba2z
Joba2z provides all the latest info related to the Latest Govt Jobs Circular, Govt exams Results, And provides All latest JOB updates for Bangladesh.This is the best Job Circular Portal In BD.Joba2z Help to People To Get a Good Job.
সম্পরকিত পোস্ট

Leave a Reply

সবচেয়ে জনপ্রিয়